শ্রাবন্তী বলেছেন, আমার এক সহকর্মী ‘স্যমন্তক’ উপন্যাসের উপাদান, চরিত্র আর সংলাপ নিয়ে যে
মন্তব্য করেছেন- তা সত্য হলে এটি হবে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা স্যমন্তক উপন্যাসের কাহিনি পৌরাণিক স্যমন্তকের কাহিনির চেয়েও আকর্ষণীয়, হৃদয়গ্রাহী ও মুগ্ধকর। বাস্তবতা আর জীবনের উত্তম বিষয় থেকে তিল তিল উত্তম বিষয়সমূহ নিয়ে এ তিলোত্তম উপন্যাসটি রচিত। পৌরাণিক স্যমন্তক ছিল মহামূল্যবান মণি। যে মণির স্পর্শে স্বর্ণে পরিণত করা যেত সাধারণ কিছু বস্তুকে। তবে পরশ পাথরের সঙ্গে স্যমন্তকের তফাৎ আছে। যে কেউ পরশ পাথর অধিকারে রাখতে পারতেন এবং এর স্পর্শে যে কোনো কিছুকে স্বর্ণে পরিণত করা যেত। তবে স্যমন্তক এমন একটি মণি, যা অধিকারে রাখতে হলে তার কিছু গুণ থাকা আবশ্যক ছিল। শুধু তাই নয়, কোনো বস্তুকে স্যমন্তকের স্পর্শে স্বর্ণে পরিণত করতে হলে ওই বস্তুটিরও কিছু যোগ্যতা থাকতে হতো।
মন্তব্য করেছেন- তা সত্য হলে এটি হবে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা স্যমন্তক উপন্যাসের কাহিনি পৌরাণিক স্যমন্তকের কাহিনির চেয়েও আকর্ষণীয়, হৃদয়গ্রাহী ও মুগ্ধকর। বাস্তবতা আর জীবনের উত্তম বিষয় থেকে তিল তিল উত্তম বিষয়সমূহ নিয়ে এ তিলোত্তম উপন্যাসটি রচিত। পৌরাণিক স্যমন্তক ছিল মহামূল্যবান মণি। যে মণির স্পর্শে স্বর্ণে পরিণত করা যেত সাধারণ কিছু বস্তুকে। তবে পরশ পাথরের সঙ্গে স্যমন্তকের তফাৎ আছে। যে কেউ পরশ পাথর অধিকারে রাখতে পারতেন এবং এর স্পর্শে যে কোনো কিছুকে স্বর্ণে পরিণত করা যেত। তবে স্যমন্তক এমন একটি মণি, যা অধিকারে রাখতে হলে তার কিছু গুণ থাকা আবশ্যক ছিল। শুধু তাই নয়, কোনো বস্তুকে স্যমন্তকের স্পর্শে স্বর্ণে পরিণত করতে হলে ওই বস্তুটিরও কিছু যোগ্যতা থাকতে হতো।
পৌরাণিক স্যমন্তক একটি মহামূল্যবান মণি। আমাদের স্যমন্তক মণি নয়, মহামূল্যবান একজন মানুষ।উপন্যাসের
নায়ক। যার পরশে অতি সাধারণ মানুষও পরিণত হয়েছে মূল্যবান মানুষে। পৌরাণিক স্যমন্তক ছিল সূর্যদেবের কণ্ঠহারের রত্ন। বিষ্ণু পুরাণ এবং মহাভারত অনুযায়ী এই রত্ন সোনার চেয়ে ৮ গুণ বেশি উজ্জ্বল ছিল। পৌরাণিক স্যমন্তকের আকর্ষণ ছিল উজ্জ্বলতা।আমাদের স্যমন্তকের আকর্ষণ ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া-মমতা আর ঔদার্য।যা স্বর্ণের চেয়ে কোটি গুণ অধিক উজ্জ্বল। ভালোবাসা মানুষকে স্যমন্তকে পরিণত করতে পারে। কীভাবে একজন সাধারণ মানুষ স্যমন্তকের মতো মহামূল্যবান হয়ে উঠতে পারে এবং কীভাবে অন্যকেও অমন মূল্যবান করে তুলতে পারে - তা জানার জন্য উপন্যাসটি একবার হলেও পড়া প্রয়োজন।
স্যমন্তক পড়ে
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, এর পাণ্ডুলিপি পড়ে আমি পুলকিত না হয়ে পারিনি। চরিত্রগুলো সব আমার চেনা। আমি নিজেও এ উপন্যাসের একটি চরিত্র। প্রধান দুটি চরিত্র যেসব শ্রদ্ধামধুর ও বিনয়বিধুর লালিত্যে পরস্পরের কাছে নিবেদিত হয়েছে তা গভীর সম্পর্কের চেয়েও নিবিড়। উভয়ে আমাকে রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’র অমিত আর লাবণ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। অমিত-লাবণ্যের মনবন্ধন ছিল কিন্তু বাঁধন ছিল না।স্যমন্তকের নায়ক-নায়িকার মনবন্ধন ও বাঁধন দুটোই রয়েছে। চরিত্রদুটোর প্রকাশ যেন মহত্ত্বের মহিমায় বিভুষিত হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
উপন্যাসের আকৃষ্টতম দিক হলো নায়ক-নায়িকার মনোলোভা দিনযাপন আর স্পর্শকাতর সম্পর্ক। গতানুগতিক ধারার বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা স্যমন্তকের চরিত্র-সংলাপ এমন হৃদয়গ্রাহী যে, অভিভূত না হয়ে পারা যায় না। মনস্তাত্বিক আলাপও কত প্রাঞ্জল ও শিক্ষণীয় হতে পারে তা স্যামন্তক পড়লে অনুধাবন করা যায়।এমন পরিপূর্ণ উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে খুব বেশি একটা নেই।
হায়াৎ মামুদ বলেছেন, ‘--- একজন বললেন, মনস্তাত্বিক উপন্যাস। পাণ্ডুলিপি পড়ে আমার মনে হয়েছে, এটি শুধু মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস নয়।ভালোবাসা, স্নেহ-প্রেম, দ্রোহ-অভিমান, রাষ্ট্র, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, ধর্ম, রাজনীতি, স্বার্থিক দ্বন্দ্ব, বিশ্বপ্রকৃতি, পরিবেশ প্রভৃতি হতে শুরু করে মনুষ্য জীবনের সঙ্গে জড়িত সবকটি বিষয় নিখুঁত মাধুর্যে বিধৃত হয়েছে। সমাজের হতদরিদ্র হতে শুরু করে প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত - এ উপন্যাসের চরিত্রের অন্তর্গত।উপন্যাসের পাত্রপাত্রী অধিকাংশ পাঠকের কাছে পরিচিত। তাই লেখকের খুব সাবধানে লিখতে হয়েছে প্রতিটি সংলাপ। ঋদ্ধ সংলাপের সঙ্গে পরিশীলিত রসবোধ উপন্যসটিকে অনবদ্য করে তুলেছে। জীবন থেকে নেওয়া ঘটনায় বিন্যস্ত এমন হৃদয়গ্রাহী উপন্যাস ইতোঃপূর্বে আমি পড়িনি।
অধ্যাপক দীপক কুমার নাগ বলেছে, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য- এ দার্শনিক কথাটির সত্যতা কি আপনি খুঁজতে চান? এজন্য আপনাকে হিমালয় অথবা কোনো পর্বতমালার পাদদেশে যেতে হবে না। আপনি এক কপি স্যমন্তক সংগ্রহ করে নিন। প্রথমত মনে হতে পারে, এ বুঝি লেখক তাঁর কল্পনার ফানুসে মনের আবেগ ও মাধুরী মিশ্রিত করে পাঠকদের জন্য একখানা গল্প বানিয়েছেন। যে কাজটি কবি-সাহিত্যিকগণ সাধারণত করে থাকেন। না, তা নয়। স্যমন্তকের নায়িকা চরিত্রে যিনি রয়েছেন (জানি না সে কে?)। নায়ক (যিনি লেখক) আমার দৃষ্টিতে একজন মানুষ। দেবতা বলব না, কারণ দেবতাদের মাঝেও যে স্বার্থপরতা রয়েছে! কেননা, দেবতাও তার ঘরে আশ্রয় নেয়, যে ঘরে ফুলচন্দন বেশি পড়ে। এদিক থেকে স্যমন্তকের লেখক যিনি একজন মানুষের দর্শন নিয়ে যে কাজটি জীবনে করেছেন- ধন্য তার জীবন, ধন্য হোক মনুষ্যত্বের, জয় হোক মানবতার! বিষয়-বর্ণনা, পরিশুদ্ধি, প্রেম, মমতা, চরিত্র, সংলাপ ও কাহিনি-সজ্জা বিবেচনায় বাংলা সাহিত্যে এমন আর কোনো উপন্যাস আছে বলে আমার জানা নেই। এটি হতে পারে বাংলা সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
স্যমন্তক প্রকাশের আগে স্যমন্তকের
নায়িকা তার ফেসবুকে লেখককে উদ্দেশ করে লিখেছেন, বিষ্ণুপুরাণ ও মহাভারতে বর্ণিত ‘স্যমন্তক’ পাওয়ার জন্য দ্বারকার সত্রাজিৎ, রাজা উগ্রসেন, সত্রাজিতের ভাই প্রসেন, পশুরাজ সিংহ, ভাল্লুকরাজ জাম্বুবান ও শ্রীকৃষ্ণ অস্থির হয়ে তীব্র প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। আমি এই ‘স্যমন্তক’-এর জন্য অধীর আগ্রহে গভীর অস্থিরতায় উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছি। এই স্যামন্তক মহাভারতের স্যমন্তকের চেয়ে অনেক অনেক বেশি মূল্যবান। স্যার বলেছেন, ১৫ দিনের মধ্যে ‘স্যমন্তক’ আমার হাতে চলে আসবে। কথিত হয়, ভাল্লুকরাজ জাম্বুবানের কবল থেকে স্যমন্তক উদ্ধারের জন্য শ্রীকৃষ্ণ একাই ২৮ দিন যুদ্ধ করেছিলেন। তাহলে এর চেয়ে অত্যধিক মূল্যবান স্যমন্তক উদ্ধারের জন্য আমি কেন এ কটা দিন অপেক্ষা করতে পারব না? আমাকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে না। প্রবাদ আছে, অপেক্ষার যন্ত্রণা মৃত্যু যন্ত্রণার চেয়ে ভয়াবহ। তবে এই স্যমন্তক-এর জন্য অপেক্ষা স্বর্গীয় প্রশান্তির চেয়েও মধুর। জীবনের চেয়েও বিভোর। এমন অমূল্য স্যামন্তকের জন্য পনের দিন কেন, যুগ যুগ অপেক্ষা করলেও আমার আগ্রহ ও আনন্দ এক বিন্দুও কমবে না। বরং বাড়বে আরও বাড়বে। স্যার, আপনিই আমার স্যমন্তক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন