বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮

স্যমন্তক পড়ে আমি যা জেনেছি / ফারহানা আক্তার রুবী


১. মনুষ্য-জীবন কত মধুর, কত নিষ্ঠুর কত মোহনীয়, কত বৈচিত্র্যময় এবং বর্ণাঢ্য হয় তা জেনেছি।
২. ভালোবাসা কীভাবে বিপদাপদ আর অসহায়ত্ব মুছে দিতে পারে তা বুঝতে পেরেছি। আরও বুঝতে পেরেছি চোখের বদলে চোখ নিয়ে নয়,
বরং চোখ দিয়ে কঠিন প্রতিশোধ নেওয়া যায়। ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীকে সত্যিকার স্বর্গে পরিণত করা যায়।
৩. স্যমন্তক পাঠ করে আমি একাগ্রতা অর্জন এবং একাগ্রতার মাধ্যমে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছার কৌশল রপ্ত করেছি। এ কৌশল প্রয়োগ করে আমি ইতোমধ্যে আমার কর্মস্থলে বেশ কয়েকটি সফলতা পেয়েছি। যাদের এ বিষয়ে উপদেশ দিয়েছি তারাও সুফল পেয়েছি।
৪. পৃথিবী শুধু মানুষের জন্য নয়, সব প্রাণীর জন্য আমার মনে এমন বোধ সৃষ্টি হয়েছে যে, প্রত্যেক জীবনের মূল্য আছে। প্রত্যেকের জীবন প্রত্যেকের কাছে নিজের জীবনের মতো প্রিয়। তাই এখন আমি চলাফেরায় শুধু আমাকে নয়, আমার চারপাশে যা বা যারা আছেন- তাদের নিয়েও ভাবি।
৫. রক্তের সম্পর্কের চেয়ে বন্ধুত্ব এবং বন্ধুত্বের চেয়ে সহায়তা যখন বড়ো হয়ে, তখন কীভাবে মানুষ অসাধ্যকে সাধন করতে পারে তা জেনেছি। অসাধ্য সাধন যে কষ্টকর নয় একাগ্রতা ও সদিচ্ছা থাকলে তা করা যায়।
৬. আমি জেনেছি কৃতজ্ঞতা মানুষকে কত শক্তি দেয়, কত সফলতা দেয়, কত উদ্দীপনা দেয়। আমার মনে কৃতজ্ঞতাবোধ প্রবল হয়েছে। এ প্রবলতা আমাকে শক্তি দিচ্ছে এগিয়ে যাওয়ার।
৭. স্যমন্তক আমাকে শিখিয়েছে যোগ্যতা অর্জন করতে হলে আগে ধারণ ক্ষমতা সৃষ্টি করতে হয়। এ ধারণ ক্ষমতা কীভাবে বাড়াতে হয় তা আমি স্যমন্তক পড়ে জানতে পেরেছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন