বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮

স্যমন্তক ভূমিকা রিভিউ / এরশাদ হোসাইন আবীর

স্যমন্তক ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা একটি অনন্য সাধারণ উপন্যাস। উপন্যাসটি যেমন অনন্য, তেমনি অনন্য এর ভূমিকা।এমন অতুলনীয় সুন্দর
ভূমিকা খুব বেশি উপন্যাসে পাবেন কি না সন্দেহ। স্যমন্তক উপন্যাসের ভূমিকায় প্রথমেই পাঠক জানতে পারবেন উপন্যাস ও ইতিহাসের সংজ্ঞার্থ ও পার্থক্য। লেখকের ভাষায়- যে কাহিনি কাল্পনিক কিন্তু চরিত্রগুলো বাস্তব - সেটা ইতিহাস। যে কাহিনি সত্য কিন্তু চরিত্রগুলো কাল্পনিক সেটা উপন্যাস। এমন চমৎকার সংজ্ঞার্থ দিয়ে শুরু স্যমন্তক।


উপন্যাসে লেখকের যে আবেগ তা অনেকের কাছে বাড়াবাড়ি হতে পারে তাই লেখক ভূমিকাতে বলেছেন আবেগ বাড়িবাড়ি হলে কিছুই করার নেই।
ভূমিকার শেষাংশে মনেরাখার একটি সুন্দর বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। লেখকের ভাষায়- যে মনে- রাখা আমার অজানা থেকে গেল সেটা কি মনে- রাখা বলা যায়? চলার পথে আকস্মিক দেখা হয়ে যাওয়া কোনো পরিচিত জনের সঙ্গে কুশল বিনিময় মনে-রাখা নয়, মনরাখা!

এমন প্রজ্ঞাময় ভাষায় শুরু স্যমন্তক। স্যমন্তক উপন্যাসের লেখক ড. মোহাম্মদ আমীন। আমিও আজ থেকে স্যমন্তক উপন্যাসের রিভিউ লেখা শুরু করলাম। আমার আবেগও লেখকের মতো বাড়াবাড়ি হতেই পারে তখন আমার কোনো দোষ নেই।উপন্যাসের প্রতিটি অধ্যায়ে আমি আমার মতামত দেব। তা কারো ভালো লাগুক আর নাই লাগুক। এই স্যমন্তক নিয়ে আমার ভালোবাসার শেষ নেই। স্যমন্তক উপন্যাসের নায়ককে আমি লেখক হিসেব উপস্থাপন করব। আর নায়িকাকে অবশ্যই রচনা হিসেবে। 

লেখক যেভাবে উপন্যাস শুরু করেছেন সেভাবেই আমি রিভিউ শুরু করব। স্যমন্তক উপন্যাস লেখা রচনার জীবনের মতো থেমে থাকবেনা আমার রিভিউ লেখাও থেমে থাকবে না। স্যমন্তকে লেখক উপন্যাস পড়ে রচনার জন্য আশীর্বাদ করতে বলেছেন আমি লেখকের কাছে রিভিউ পড়ার পরে আমাকে আশীর্বাদ করবেন বলে আশা করি। সবার জন্য শুভ কামনা। স্যমন্তক উপন্যাসের লেখক ড. মোহাম্ম আমীনকে এমন একটি উপন্যাস আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি তার আশীর্বাদপ্রার্থী।
রিভিউ লেখক-

০৩.০৩.২০১৭খ্রি.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন